চৌধুরী হারুনুর রশীদ, রাঙামাটি : সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন তৌফিক ইমাম (এসটিইমাম) রাঙামাটিতে স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
২২ মার্চ সোমবার বিকাল ৪ ঘটিকায় রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি মিলনায়তনে স্বরণ সভার আয়োজন করেন ,বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদ। বাংলাদেশ খাদ্যমন্ত্রনালয় সম্পর্কীত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার সভাপতিত্বে বত্তব্য রাখেন, রাঙামাটি স্কাউট ও প্রতিবন্ধী স্কুলের সাধারণ সম্পাদক এক তৎকালিন ছাত্রলীগ নেতা ,নুরুল আবচার, কোতায়ালী থানার এএসপি তাপস রঞ্জন ঘোষ,সাবেক সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু ,রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারী কলেজের প্রফেসর তুষার কান্তি বড়–য়া,বীর মুক্তিযোদ্ধা রণবিক্রম ত্রিপুরা(তাতু) বক্তব্য রাখেন ।
তিনি বলেন,যুদ্ধকালিন সময়ে সোনালী ব্যাংকের ট্রেজার থেকে অর্থ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য ভারতে নিয়ে গেছে। রনবিক্রম ত্রিপুরা বলেন, ভারতের দেমাগ্রীসহ তিনটি স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষনের জন্য এই সব ট্রেজার অর্থ পৌছানোর আমি পথ প্রদর্শক ছিলাম ।
বক্তরা বলেন,অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার প্রাক্তন জেলা প্রশাসক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ৪টা মার্চ ইন্তেকাল করেছেন। দুরদর্শী ভাবনায় হৃদ্য এই বিরলপ্রজ ব্যক্তিত্বের দৃড় প্রত্যয় ও অদম্য মনোভঙ্গি সততা আগামী প্রজম্মের পাথেয় হয়ে থাকবে। তিনি একজন সফল সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ ।
তৎকালিন পুর্বপাকিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার পাশাপাশি ১৯৭১ সালে এ মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহন করেন। এবং প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার পরিচালনায় গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা নিয়োগ করেন।২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়। ১৬ ডিসেম্বও ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে ২৬ আগষ্ট পর্যন্ত মন্ত্রী পরিষদের সচিব পদে নিযুক্ত ছিলেন।১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সচিব ছিলেন।১৯৮৬ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত পরিকল্পনা সচিব হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি আৗয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দলীয় নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ঘটনা নিয়ে তিনটি বই লিখেছেন।
চৌধুরী হারুনুর রশীদ,রাঙামাটি -২২ মার্চ ২০২১।